v কখনো সন্তানের সামনে
নিজেরা কাপড় পড়বেননা এবং বদলাবেননা । কখনো জাগ্রত
শিশু
সন্তানের
সামনে সহবাস থেকেও
বিরত
থাকুন
এবং যেখানে সেখানে উলঙ্গ
অবস্থায়
যেতে নিষেধ করুন।
ইসলাম
নির্দেশিত
সতর ঢেকে
রাখুন
এবং
শিশুদের
সতর সম্পর্কে
জ্ঞান
দান
করুন।
v
আপনার
মেয়ে শিশুকে কোন অচেনা লোকের কোলে
বসতে দেওয়ার ব্যাপারে সতর্ক
থাকুন, এমনকি নিজের আত্মীয়-
স্বজনদের ব্যাপারেও সতর্ক থাকুন।ছোটবেলা থেকে
পর্দার ব্যাপারে সচেতনতা তৈরি করুন।ছোটকাল থেকেই আপনার সন্তানকে
প্রতিকুল পরিবেশে প্রতিবাদ করার জন্য অনুপ্রেরনা
দিন এবং বাজে পরিস্থিতিতে কিভাবে আত্মরক্ষা
করবে তার ধারনা ও
শিক্ষা প্রদান করুন।
v
বিশেষভাবে
মেয়ে সন্তানকে খেলাধুলার সাথী নির্বাচন করার সময় সতর্ক
থাকুন। নজর রাখুন
আপনার সন্তান যখন বন্ধুদের
সঙ্গে খেলতে
যায় তখন তারা কি ধরনের
খেলা খেলছে একে অপরের
সাথে? নিছক বিনোদন বা সময় কাটানোর
জন্য খেলাধুলা ছাড়া
অন্য সব ধরনের খেলাধুলা
থেকে বিরত রাখুন। খেয়াল রাখুন শিশুদের খেলাধুলার বিষয়
যেন, বিয়ে-শাদি বা
সংসার না হয়।
v
অনেক
সময় দেখা
যায় অনেক মায়েরা
তাদের বাচ্চাদের ঠাণ্ডা রাখার জন্য
বিভিন্ন কার্টুন ও মুভি দেখায় যা কখনই ঠিক না। কারন ছোটবেলাথেকেই এসব জিনিস বাচ্চাদের মানসিকতায়
অনেক প্রভাব বিস্তার করে।আর
ইসলাম তো এসব কার্টুন
ও মুভি দেখানোকে কখনোই
সমর্থন করে না। বরং
এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন ভালো গল্প,কাহিনি শোনানো যেতে পারে।
v মেয়ে সন্তানের বয়স
যখন ৩
বছর হয় তখন উচিত সন্তানকে
টয়লেট শেষে নিজেনিজে গোপনাঙ্গ
পরিষ্কার করতে শিখানো এবং
তাকে ইসলামের পবিত্রতার গুরুত্ব শিখানো।
v
লক্ষ্য রাখবেন
কেউ যেন আপনার মেয়ে সন্তানকে কখনো দুস্টামি করেও
আমার বউ বা আমার
ছেলের বউ ইত্যাদি কথা
না বলে। কারণ এতে
করে আপনার সন্তানের মাঝে
অপরিনত বয়সেই বিয়ের মানসিকতা
সৃষ্টি হতে পারে। ইসলাম
বৈধ উপায়ে যথার্থ সময়ে
বিয়ের আদেশ দিয়েছে যে, পরিনত বয়সের আগেও নয় এবং
খুব পরেও নয়।
v অন্য প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ
কিংবা মহিলার কাছে আপনার
মেয়ে সন্তানকে পাঠানোর ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন এবং
জোর করে কখনো তাকে
এমন জায়গায় পাঠাবেন
না যেখানে
সে যেতে
চায় না। এবং আপনি যদি কখনো লক্ষ্য করেন
যে কেউ
আপনার মেয়ে সন্তানকে খুব
বেশি আদর করছে, তাতেও
সতর্ক থাকুন। কারণ মানুষ
মাত্রই ভুল।শয়তান যে কোনো সময়
যে কোনো মানুষকে ধোকায়
ফেলতে পারে, তাই সবসময় সতর্ক থাকা উচিত।
v
সাবধানতা
এবং সতর্কতার সাথে আপনার মেয়ে
সন্তানকে বয়ঃসন্ধীকালীনে যৌন
সম্পর্কে সঠিক শিক্ষা
প্রদান করুন এবং তাকে
এই সময়ের সকল অপকারিতা
সম্পর্কে সচেতন করুন।আপনার মেয়েকে
জানতে সাহায্য করুন, ইসলাম কেন
এই সময় ইবাদত-বন্দেগি
করতে নিষেধ করেছে।
v যদি কখনো দেখেন
যে হঠাৎ
করে আপনার মেয়েটি নিশ্চুপ হয়ে আছে তখন সতর্কতার
সাথে সেই কারণ জানার চেষ্টা
করুন এবং কারণ দূর
করার চেষ্টা
করুন। আপনার কাছে কারণ
যদি যৌন হয়রানি আবিষ্কৃত হয় তাহলে তাকে বোঝানোর চেষ্টা করুন যে এটা ভুল এবং এই ভুল থেকে সর্বদা বিরত থাকা উচিত। আর তার পাশাপাশি ইসলামি বিধি নিষেধগুলো সম্পর্কে
তাকে জানান। ইসলাম নির্দেশিত যৌন হয়রানির শাস্তি ও পরিণাম সম্পর্কে তাকে অবহিত করুন।
যদি যৌন হয়রানি আবিষ্কৃত হয় তাহলে তাকে বোঝানোর চেষ্টা করুন যে এটা ভুল এবং এই ভুল থেকে সর্বদা বিরত থাকা উচিত। আর তার পাশাপাশি ইসলামি বিধি নিষেধগুলো সম্পর্কে
তাকে জানান। ইসলাম নির্দেশিত যৌন হয়রানির শাস্তি ও পরিণাম সম্পর্কে তাকে অবহিত করুন।
v আরেকটা ব্যাপারে খুব
সতর্কথাকুন যে প্রয়োজন ছাড়া মেয়ে সন্তানকে গোপনাঙ্গ
স্পর্শ করা থেকে তাকে
বিরত রাখুন এবং নিজেরা
বিরত থাকুন। এতে করে
লজ্জাহীনতা সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা
থাকে।মন্দ কাজ, মন্দ ব্যক্তি,কুরুচিপূর্ন
বিষয় এবং নিন্দনীয় আচরণের
তালিকা তৈরি করুন এবংমেয়েকে
সেগুলো সম্পর্কে সঠিক শিক্ষা দিন।এই ব্যাপারে আপনাকে মনে রাখতে
হবে, তাকে যা কিছু
জানাবেন বা বুঝাবেন সবগুলোর কারন তাকে ব্যাখা করতে হবে।
v আপনার সন্তান যদি কখনো কারো বিরুদ্ধে
নালিশ করে আপনার
কাছে তাহলে
কখনো তা হেলায় উড়িয়ে দেবেন না- সেই
ব্যক্তিটি যেই হোক না কেন? মনোযোগ সহকারে তার নালিশ শুনুন
এবং যৌক্তিকতা বিচার করুন এবং
তাকে নালিশ ও
বিচারের ক্ষেত্রে ইসলাম কী বলেছেন
তা জানান।
0 মন্তব্য(গুলি):
Post a Comment