তৈলাক্ত ত্বকের কারণ:
- – জিনগত,
- – খাদ্যের পছন্দ,
- – মানসিক চাপ ও
- – বয়ঃসন্ধিকালে হরমোনের পরিবর্তনের কারণে তৈলাক্ত ত্বক হতে পারে।
- – মহিলাদের পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে,
- – গর্ভাবস্থায়,
- – মেনোপোজের সময় এবং
- – যারা জন্মনিয়ন্ত্রণ এর ঔষধ গ্রহণ করেন তাদের তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যা হয়।
তৈলাক্ত ত্বকের ভালো দিক:
সাধারণ ও শুষ্ক ত্বকের চেয়ে তৈলাক্ত ত্বকে বলিরেখা কম দেখা যায়। যার ফলে ত্বকে তাড়াতাড়ি বয়সের ছাপ পড়ে না।
ঘরোয়া কিছু উপায়ে এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। এবার আসুন জেনে নেয়া যাক উপায় গুলো কী।
১। শসা
শসা ত্বককে শীতল করে বলে ফেসিয়াল করার সময় ও স্পাতে ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও এতে ভিটামিন ও মিনারেল আছে যা ত্বকের তৈলাক্ততা, ফোলা ও লাল হয়ে যাওয়ার বিরুদ্ধে কাজ করে।
- – একটি শসা স্লাইস করে নিয়ে মুখে ঘষুন
- – এভাবে সারারাত রেখে দিন
- – সকালে উষ্ণ গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন
- – প্রতিদিন এটা করুন।
২। লেবু
লেবুর রসে সাইট্রিক এসিড আছে যা অ্যাস্ট্রিঞ্জেন্ট হিসেবে কাজ করে।এছাড়াও এতে অ্যান্টিসেপ্টিক উপাদান আছে যা ত্বকের কালো ভাব দূর করে এবং pH ব্যালেন্স ঠিক করে।
- – অর্ধেক টেবিলচামচ বিশুদ্ধ পানির সাথে ১টেবিলচামচ লেবুর রস মিশান
- – কটন বল দিয়ে মিশ্রণটি আপনার ত্বকে লাগান
- – ১০ মিনিট পর উষ্ণ গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন
- – দিনে একবার এটা ব্যবহার করুন।
- – লেবুর রস ত্বককে শুষ্ক করে দেয়।তাই মুখ ধোয়ে অয়েল ফ্রি ময়েশ্চারাইজার লাগান।
টিপস:
- -মুখে পাউডার লাগালে অতিরিক্ত তেল দূর হয়।
- -আপনার ব্যাগে সবসময় ওয়াইপস বা ভেজা টিস্যু রাখুন যেন অতিরিক্ত তেল মুছে ফেলতে পারেন।
- -ঠান্ডা পানির চেয়ে গরম পানি দিয়ে মুখ ধুলে অতিরিক্ত তেল দূর হয়।
- -ডিমের সাদা অংশ, টম্যাটো, আপেল, অ্যালোভেরা ইত্যাদির প্যাক ও ত্বকের তৈলাক্ততা দূর করতে পারে।
- – কসমেটিকস ব্যবহার কমিয়ে দিন।
- -বেশি বেশি মুখ ধোয়া ত্বকের জন্য মোটেই ভালো নয়। দিনে ২ বার মুখ ধোন।
- -সাবান ব্যবহার না করা ভালো।
- – ক্রিম ব্লাশ বা আইশ্যাডো ব্যবহার না করে পাউডার ব্লাশ বা আইশ্যাডো ব্যবহার করুন।
এটা শুনতে একটু বিপরীত মনে হবে যে, তৈলাক্ত ত্বকেরও ময়েশ্চারাইজার প্রয়োজন। আদ্রতা ও তেল দুটি ভিন্ন জিনিষ। তৈলাক্ত ত্বকও পানিশূন্য হতে পারে,তাই ত্বকের সুস্থতার জন্য আদ্রতা বজায় রাখা প্রয়োজন। হাল্কা অয়েল ফ্রি ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
0 মন্তব্য(গুলি):
Post a Comment